ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক বোয়ালমারীতে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা এক লক্ষ টাকা আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নে আগুনে আটটি দোকান পুড়ে ছাই ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল বোয়ালমারীতে থ্রি হুইলার উল্টে চালকের মৃত্যু কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন কোম্পানীগঞ্জে কারের চাপায়  দুই বছরের শিশু নিহত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তির পদায়নে ব্যস্ত জবি উপাচার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক কালের খেয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম উপাচার্যের আসনে বসে ৬ মাসে সরকার পতনের আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসিয়েছেন দায়িত্বশীল পদে। তাই নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানান আলোচনা – সমালোচনা। ভয়ে মুখ খোলে না সিনিয়র শিক্ষকরাও।

 

ইতিমধ্যে নিজ বলয়ের বেশ কিছু শিক্ষককে বসিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে প্রধানের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক শওকত জাহাঙ্গীর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগে চাকরি হারাতে হয়েছিলো তার। তৎকালীন উপাচার্য ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেছিলো ‘জনস্বার্থে চাকরিচ্যুত করা হলো শওকত জাহাঙ্গীরকে’।

 

তৎকালীন সময়ে ট্রেজারারের দায়িত্বপালন করছিলেন তিনি। হুট করেই সেই শওকত জাহাঙ্গীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মেরুদন্ড খ্যাত অর্গানোগ্রাম তৈরিতে তাকে আহবায়ক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক চাকুরি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ, নতুন বিভাগ ও অনুষদ তিনি চাইলে খুলতে পারবেন। অবশ্য এ জন্য ১২ সদস্যের কমিটির মতামতের প্রয়োজন হবে । যার অধিকাংশই শওকত জাহাঙ্গিরের অনুগত। অর্গানোগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধের রয়েছে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ।

 

ছাত্র জীবনে হাফিজুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন। উপাচার্যের চেয়ারের বসে ড. সাদেকা হালিম মাত্র ৩ মাস ১৮ দিনের মাথায় সদ্য সাবেক রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। যদিও তার চাকরির মেয়াদ ছিলো চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। নিয়মিত অধনস্ত কর্মকর্তাদের সামনে অশোভন আচরণ জীবনে শেষ চাকরির মুহূর্তে সহ্য করতে না পেরে পদত্যাদের পথ বেছে নেন তিনি। সেখানে বসান সিন্ডিকেটের অপর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামকে। অভিযোগ রয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী কেলেঙ্কারি দায়ে তার চাকরি হারাতে হয়েছে।

 

সেখানে কোষাধক্ষের পদে ছিলেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার সাবেক সহকর্মী বলেন, আওয়ামী বিরোধী রাজনীতিকে তলে তলে পৃষ্ঠপোশকতা দিতেন তিনি। জামাতের ফান্ড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বও পালন করেছেন। দেশে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচার হয়েছে সেই সময়ের সংবাদ। তবে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করলেও ড. সাদেকা হালিম আছেন বহাল তবিয়তে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যের তকমা নিয়ে জবিতে বিভিন্ন দায়িত্বে পদায়ন করছেন বিএনপি- জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তির পদায়নে ব্যস্ত জবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম উপাচার্যের আসনে বসে ৬ মাসে সরকার পতনের আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসিয়েছেন দায়িত্বশীল পদে। তাই নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানান আলোচনা – সমালোচনা। ভয়ে মুখ খোলে না সিনিয়র শিক্ষকরাও।

 

ইতিমধ্যে নিজ বলয়ের বেশ কিছু শিক্ষককে বসিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে প্রধানের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক শওকত জাহাঙ্গীর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগে চাকরি হারাতে হয়েছিলো তার। তৎকালীন উপাচার্য ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেছিলো ‘জনস্বার্থে চাকরিচ্যুত করা হলো শওকত জাহাঙ্গীরকে’।

 

তৎকালীন সময়ে ট্রেজারারের দায়িত্বপালন করছিলেন তিনি। হুট করেই সেই শওকত জাহাঙ্গীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মেরুদন্ড খ্যাত অর্গানোগ্রাম তৈরিতে তাকে আহবায়ক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক চাকুরি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ, নতুন বিভাগ ও অনুষদ তিনি চাইলে খুলতে পারবেন। অবশ্য এ জন্য ১২ সদস্যের কমিটির মতামতের প্রয়োজন হবে । যার অধিকাংশই শওকত জাহাঙ্গিরের অনুগত। অর্গানোগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধের রয়েছে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ।

 

ছাত্র জীবনে হাফিজুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন। উপাচার্যের চেয়ারের বসে ড. সাদেকা হালিম মাত্র ৩ মাস ১৮ দিনের মাথায় সদ্য সাবেক রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। যদিও তার চাকরির মেয়াদ ছিলো চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। নিয়মিত অধনস্ত কর্মকর্তাদের সামনে অশোভন আচরণ জীবনে শেষ চাকরির মুহূর্তে সহ্য করতে না পেরে পদত্যাদের পথ বেছে নেন তিনি। সেখানে বসান সিন্ডিকেটের অপর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামকে। অভিযোগ রয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী কেলেঙ্কারি দায়ে তার চাকরি হারাতে হয়েছে।

 

সেখানে কোষাধক্ষের পদে ছিলেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার সাবেক সহকর্মী বলেন, আওয়ামী বিরোধী রাজনীতিকে তলে তলে পৃষ্ঠপোশকতা দিতেন তিনি। জামাতের ফান্ড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বও পালন করেছেন। দেশে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচার হয়েছে সেই সময়ের সংবাদ। তবে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করলেও ড. সাদেকা হালিম আছেন বহাল তবিয়তে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যের তকমা নিয়ে জবিতে বিভিন্ন দায়িত্বে পদায়ন করছেন বিএনপি- জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।