ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে সাংবাদিক সংবর্ধনা পেলেন কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী আটক কোম্পানীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ৩ জন আহত কোম্পানীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড, পে-লুডার জব্দ ও জরিমানা অবৈধভাবে মাটি কাটায় মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০০০০ টাকা জরিমান বোয়ালমারীতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা বোয়ালমারীতে আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৫ নেতা গ্রেপ্তার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভাতিজার হাতে চাচা খুন জাফলং ও শ্রীপুর কোয়ারি পরিদর্শনে বৃহত্তর জৈন্তিয়া উন্নয়ন পরিষদের সফর, অবৈধ লুটপাট বন্ধে পাথরকোয়ারী খুলে দেওয়ার আহ্বান আলফাডাঙ্গায় অতর্কিত হামলায় দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম

বোয়ালমারীতে দুলু হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ 

টুটুল বসু, বোয়ালমারী ফরিদপুর
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক কালের খেয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দেলোয়ার হোসেন দুলু হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।

১২ এপ্রিল শনিবার বেলা ১০ টা থেকে বোয়ালমারী পৌরসদরস্থ ওয়াপদা মোড়ে মাঝকান্দী ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় ৩ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকে পড়ে। পরে বোয়ালমারী থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২১ মার্চ প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হয় দুলু মোল্যা, পরে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টানা ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করে তিনি। অবরোধ চলাকালীন হত্যায় সহযোগিতা করায় বিএনপি নেতা মফিজুর কাদের মিল্টন খানের ফাঁসি চেয়ে মুহুর্মুহু শ্লোগান দেয় ও আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় অবরোধকারীরা।

 

নিহত দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যা বোয়ালমারী পৌরসভাধীন পূর্ব কামার গ্রাম মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত নুরুল হক মোল্যা। জমি-জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২১ মার্চ তিনি এ হামলার শিকার হন।

 

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী মোঃ কাশেম মোল্যা, সিদ্দিক মোল্যাদের সঙ্গে নিহত দুলু মোল্যার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে বিরোধ সৃষ্ট জমি থেকে দুলু মোল্যার ছোট ভাই মোহাম্মদ আমির হোসেন মোল্যা মাটি কাটতে গেলে বিবাদী কাশেম মোল্যা,সিদ্দিক মোল্যা,লুৎফার মোল্যা,নজরুল মোল্যা,তাহিদ মোল্যাসহ বেশ কয়েকজন বাঁধা প্রদান করেন। এনিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিবাদীরা আমির হোসেন কে মারধর শুরু করলে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন দুলু মোল্যা। এসময় কাশেম মোল্যার ভাড়াটিয়া বিএনপি নেতা মফিজুর কাদের খান মিল্টন- দুলু মোল্যাকে পথ আটকিয়ে বাধা দেয় ও তার জামা ধরে আটকিয়ে রাখে।

এ সময় অভিযুক্তরা দুলু মোল্যাকে ধারালো অস্ত্র (ছুড়া)দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক আহত দুলু মোল্যাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ এপ্রিল মারা যান তিনি। নিহত দুলু মোল্যা ও তার ভাই আমির হোসেন মোল্যার উপর হামলার ঘটনায় গত ২৭ মার্চ একটি মামলা হয় বোয়ালমারী থানায়। এতে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/ ৫ জনকে আসামি করা হয়। নামধারী আসামীরা হলেন, পুর্ব-কামারগ্রামের লুৎফর মোল্যার তিন ছেলে

কাশেম মোল্যা(৪২), সিদ্দিক মোল্যা(৪০) ও তাহিদ মোল্যা (৩২)। মৃত মোহন মোল্যার ছেলে লুৎফার মোল্যা (৬৫), নজরুল মোল্যা (৬০), এবং পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের পাঁচু তালুকদারের ছেলে ফজলু তালুকদার (৫৮)। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

 

এ মামলায় ১ নং আসামি কাশেম মোল্যা ও ৬ নং আসামী ফজলু তালুকদার গ্রেফতার হলেও বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যা মারা যাওয়ায় আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর ও আরও দুই আসামীকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানান নিহতের পরিবার।

 

নিহত দুলু মোল্যার বড় ভাই মামলার বাদী আব্দুল মান্নান মোল্যা বলেন,পরিকল্পিত ও নৃশংস ভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।আমরা থানায় বারবার হত্যায় জড়িত আরও দুটি নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লিখিত দিলেও অজ্ঞাত কারনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না, এমনকি আসামিদের গ্রেপ্তারেরও কার্যত কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মামলার সকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মানববন্ধনে পিতার হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন নিহতের দুই শিশু সন্তান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী মোল্যা। এছাড়া নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম। বড় বোন সাহিদা বেগম, রোকেয়া বেগম, ভাগ্নী রহিমা খানম, ভাই খোকন মোল্যা, রোকন মোল্যা, আমীর হোসেন মোল্যা, আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা। সাবেক কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, বাদশা মৃধা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

 

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার

প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেন পরিবার। এসময় ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন- নতুন করে এজাহার নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্তের সময় নতুন কোন আসামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবেন। নতুন করে দুই জনকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছে বাদীপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মামলার সব আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

টুটুল বসু,

বোয়ালমারী,ফরিদপুর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বোয়ালমারীতে দুলু হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ 

আপডেট সময় : ০২:৪৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দেলোয়ার হোসেন দুলু হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।

১২ এপ্রিল শনিবার বেলা ১০ টা থেকে বোয়ালমারী পৌরসদরস্থ ওয়াপদা মোড়ে মাঝকান্দী ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় ৩ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকে পড়ে। পরে বোয়ালমারী থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২১ মার্চ প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হয় দুলু মোল্যা, পরে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টানা ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করে তিনি। অবরোধ চলাকালীন হত্যায় সহযোগিতা করায় বিএনপি নেতা মফিজুর কাদের মিল্টন খানের ফাঁসি চেয়ে মুহুর্মুহু শ্লোগান দেয় ও আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় অবরোধকারীরা।

 

নিহত দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যা বোয়ালমারী পৌরসভাধীন পূর্ব কামার গ্রাম মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত নুরুল হক মোল্যা। জমি-জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২১ মার্চ তিনি এ হামলার শিকার হন।

 

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী মোঃ কাশেম মোল্যা, সিদ্দিক মোল্যাদের সঙ্গে নিহত দুলু মোল্যার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে বিরোধ সৃষ্ট জমি থেকে দুলু মোল্যার ছোট ভাই মোহাম্মদ আমির হোসেন মোল্যা মাটি কাটতে গেলে বিবাদী কাশেম মোল্যা,সিদ্দিক মোল্যা,লুৎফার মোল্যা,নজরুল মোল্যা,তাহিদ মোল্যাসহ বেশ কয়েকজন বাঁধা প্রদান করেন। এনিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিবাদীরা আমির হোসেন কে মারধর শুরু করলে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন দুলু মোল্যা। এসময় কাশেম মোল্যার ভাড়াটিয়া বিএনপি নেতা মফিজুর কাদের খান মিল্টন- দুলু মোল্যাকে পথ আটকিয়ে বাধা দেয় ও তার জামা ধরে আটকিয়ে রাখে।

এ সময় অভিযুক্তরা দুলু মোল্যাকে ধারালো অস্ত্র (ছুড়া)দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক আহত দুলু মোল্যাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ এপ্রিল মারা যান তিনি। নিহত দুলু মোল্যা ও তার ভাই আমির হোসেন মোল্যার উপর হামলার ঘটনায় গত ২৭ মার্চ একটি মামলা হয় বোয়ালমারী থানায়। এতে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/ ৫ জনকে আসামি করা হয়। নামধারী আসামীরা হলেন, পুর্ব-কামারগ্রামের লুৎফর মোল্যার তিন ছেলে

কাশেম মোল্যা(৪২), সিদ্দিক মোল্যা(৪০) ও তাহিদ মোল্যা (৩২)। মৃত মোহন মোল্যার ছেলে লুৎফার মোল্যা (৬৫), নজরুল মোল্যা (৬০), এবং পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের পাঁচু তালুকদারের ছেলে ফজলু তালুকদার (৫৮)। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

 

এ মামলায় ১ নং আসামি কাশেম মোল্যা ও ৬ নং আসামী ফজলু তালুকদার গ্রেফতার হলেও বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যা মারা যাওয়ায় আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর ও আরও দুই আসামীকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানান নিহতের পরিবার।

 

নিহত দুলু মোল্যার বড় ভাই মামলার বাদী আব্দুল মান্নান মোল্যা বলেন,পরিকল্পিত ও নৃশংস ভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।আমরা থানায় বারবার হত্যায় জড়িত আরও দুটি নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লিখিত দিলেও অজ্ঞাত কারনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না, এমনকি আসামিদের গ্রেপ্তারেরও কার্যত কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মামলার সকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মানববন্ধনে পিতার হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন নিহতের দুই শিশু সন্তান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী মোল্যা। এছাড়া নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম। বড় বোন সাহিদা বেগম, রোকেয়া বেগম, ভাগ্নী রহিমা খানম, ভাই খোকন মোল্যা, রোকন মোল্যা, আমীর হোসেন মোল্যা, আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা। সাবেক কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, বাদশা মৃধা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

 

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার

প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেন পরিবার। এসময় ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন- নতুন করে এজাহার নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্তের সময় নতুন কোন আসামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবেন। নতুন করে দুই জনকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছে বাদীপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মামলার সব আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

টুটুল বসু,

বোয়ালমারী,ফরিদপুর