ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক বোয়ালমারীতে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা এক লক্ষ টাকা আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নে আগুনে আটটি দোকান পুড়ে ছাই ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল বোয়ালমারীতে থ্রি হুইলার উল্টে চালকের মৃত্যু কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন কোম্পানীগঞ্জে কারের চাপায়  দুই বছরের শিশু নিহত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন

ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগ নেতা আমানের হাতে আলাদিনের চেরাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক কালের খেয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি, অর্থ বানিজ্য, জমি দখল, বালু টেন্ডারিং থেকে শুরু করে নানান অনিয়ম, দূর্নীতি ও কালোবাজারি কেলেঙ্কারিতে নাম আসে অনেকের। এরমধ্যে মন্ত্রণালয় পর্যায় থেকে শুরু করে বাদ যায়নি উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিক্তিক চাঁদাবাজদের দখলদারিত্বও। আমান উল্লাহ উরফে আমান আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা। এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি , লুটতরাজ ও নানান অনিয়মের সাথে জড়িত সে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তার বহু অনিয়ম, কালোবাজারি থেকে শুরু করে অভিযোগ উঠেছে ক্যাসিনোর মতো ভয়াবহ অবৈধ জুয়া খেলারও। স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম দোসর এমপি নজরুল ইসলাম বাবু’র সাথে আমানও উপজেলার বিভিন্ন জমি দখল, অবৈধ বালু ব্যবসা, বাস সিন্ডিকেটসহ বহু অপরাধের সাথে জড়িত। রাতারাতি বনে গেছেন ক্যাসিনো সম্রাট। গড়ে তুলেছেন অবৈধ টাকার পাহাড়। এমপি বাবুর ছত্রছায়ায় এসব করে বেড়াতেন সে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বাদ যায়নি তার নিজ গ্রাম মানিকপুরও। এলাকায় সন্ত্রাসী ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন সে।

সূত্র বলছে, ” কাপড়ের ব্যবসায় জোরজবরদস্তি করে অনেকের কাছ থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন বহু সংখ্যক টাকাপয়সা। অন্যের জমিতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব আবাসস্থল। এতে করে এলাকার অনেকেই ক্ষুব্ধ। ”
ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু সুবিধা বঞ্চিত যুবলীগ নেতারা বলছেন, ” আমানের ত্রাসের কারণে বহু নেতা রাজনৈতিকভাবেও সুবিধাবঞ্চিত ছিলো। এমপির ক্ষমতাবলে সে এলাকার লোকজনকে অত্যাচার, খুনের হুমকি থেকে শুরু করে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তার ভয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। রাজনৈতিক অপব্যবহার করে সে বিভিন্ন নেতাদেরও হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকতেন। ”

অনুসন্ধান বলছে, গোপালদী বাজারে রয়েছে তার একাধিক চালের আড়ৎ এবং গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। অবৈধ টাকায় আড়াইহাজার দুবাই প্লাজায় দিয়েছেন মোবাইল বিক্রির দোকানও। এছাড়াও কড়ইতলা সংলগ্ন রয়েছে শত বিঘা জমি৷ জোরপূর্বক জমি দখল করে এসব অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আমান তার যেসব অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তা যেন রীতিমতো আলাদিনের চেরাগের মতো। দিবালোকে ধনী বনে যাওয়া আমান অবৈধ উপায়ে, লোকজনকে নির্যাতন করে এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন। রাজনৈতিক অপব্যবহার করে ইউনিয়নে ও নিজ গ্রাম মানিকপুরে বহু নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এখন স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে বহু লোকজন তার দ্বারা নির্যাতিত, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন৷ অনেকে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশেও। কেউ কেউ নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

গ্রামবাসীরা বলছেন, ” তার উপযুক্ত বিচার করতে হবে এবং সকল অপরাধের জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তার নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। আতঙ্কে দিনরাত পার করছেন অনেকে। তাই তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তার এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়ারও আহ্বান জানান তারা। প্রশাসনের নিকট আমানের সর্বোচ্চ দাবী তাদের। এসব স্বৈরাচারী নেতাদের জন্য ইউনিয়নের মানহানি হয় বলেও জানান বিশনন্দী ইউনিয়নের অনেক সমাজসেবক। এব্যাপারে প্রশাসনের সরব ভূমিকা দেখে রীতিমতো মনঃক্ষুণ্ন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগ নেতা আমানের হাতে আলাদিনের চেরাগ

আপডেট সময় : ১১:০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি, অর্থ বানিজ্য, জমি দখল, বালু টেন্ডারিং থেকে শুরু করে নানান অনিয়ম, দূর্নীতি ও কালোবাজারি কেলেঙ্কারিতে নাম আসে অনেকের। এরমধ্যে মন্ত্রণালয় পর্যায় থেকে শুরু করে বাদ যায়নি উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিক্তিক চাঁদাবাজদের দখলদারিত্বও। আমান উল্লাহ উরফে আমান আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা। এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি , লুটতরাজ ও নানান অনিয়মের সাথে জড়িত সে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তার বহু অনিয়ম, কালোবাজারি থেকে শুরু করে অভিযোগ উঠেছে ক্যাসিনোর মতো ভয়াবহ অবৈধ জুয়া খেলারও। স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম দোসর এমপি নজরুল ইসলাম বাবু’র সাথে আমানও উপজেলার বিভিন্ন জমি দখল, অবৈধ বালু ব্যবসা, বাস সিন্ডিকেটসহ বহু অপরাধের সাথে জড়িত। রাতারাতি বনে গেছেন ক্যাসিনো সম্রাট। গড়ে তুলেছেন অবৈধ টাকার পাহাড়। এমপি বাবুর ছত্রছায়ায় এসব করে বেড়াতেন সে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বাদ যায়নি তার নিজ গ্রাম মানিকপুরও। এলাকায় সন্ত্রাসী ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন সে।

সূত্র বলছে, ” কাপড়ের ব্যবসায় জোরজবরদস্তি করে অনেকের কাছ থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন বহু সংখ্যক টাকাপয়সা। অন্যের জমিতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব আবাসস্থল। এতে করে এলাকার অনেকেই ক্ষুব্ধ। ”
ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু সুবিধা বঞ্চিত যুবলীগ নেতারা বলছেন, ” আমানের ত্রাসের কারণে বহু নেতা রাজনৈতিকভাবেও সুবিধাবঞ্চিত ছিলো। এমপির ক্ষমতাবলে সে এলাকার লোকজনকে অত্যাচার, খুনের হুমকি থেকে শুরু করে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তার ভয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। রাজনৈতিক অপব্যবহার করে সে বিভিন্ন নেতাদেরও হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকতেন। ”

অনুসন্ধান বলছে, গোপালদী বাজারে রয়েছে তার একাধিক চালের আড়ৎ এবং গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। অবৈধ টাকায় আড়াইহাজার দুবাই প্লাজায় দিয়েছেন মোবাইল বিক্রির দোকানও। এছাড়াও কড়ইতলা সংলগ্ন রয়েছে শত বিঘা জমি৷ জোরপূর্বক জমি দখল করে এসব অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আমান তার যেসব অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তা যেন রীতিমতো আলাদিনের চেরাগের মতো। দিবালোকে ধনী বনে যাওয়া আমান অবৈধ উপায়ে, লোকজনকে নির্যাতন করে এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন। রাজনৈতিক অপব্যবহার করে ইউনিয়নে ও নিজ গ্রাম মানিকপুরে বহু নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এখন স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে বহু লোকজন তার দ্বারা নির্যাতিত, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন৷ অনেকে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশেও। কেউ কেউ নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

গ্রামবাসীরা বলছেন, ” তার উপযুক্ত বিচার করতে হবে এবং সকল অপরাধের জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তার নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। আতঙ্কে দিনরাত পার করছেন অনেকে। তাই তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তার এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়ারও আহ্বান জানান তারা। প্রশাসনের নিকট আমানের সর্বোচ্চ দাবী তাদের। এসব স্বৈরাচারী নেতাদের জন্য ইউনিয়নের মানহানি হয় বলেও জানান বিশনন্দী ইউনিয়নের অনেক সমাজসেবক। এব্যাপারে প্রশাসনের সরব ভূমিকা দেখে রীতিমতো মনঃক্ষুণ্ন তারা।