ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১১ জন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক কালের খেয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চলমান আন্দোলনে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে চারজনে মৃতদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমানের গণমাধ্যমকে চারজনের মৃতদেহর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি।

এর আগে উত্তরায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেন উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ। সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে।

উত্তরায় নিহতদের মধ্যে একজনের নাম শেখ ফাহমিন জাফর। তিনি টঙ্গী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

জাফরের মা কাজী লুলুল মাকহমিন কালের কণ্ঠকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।

এ ছাড়া রাজধানীতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ধানমন্ডির পুরোনো ২৭ নম্বর সড়কে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. ফারহানুল ইসলাম ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফায়াজ) নিহত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, দুপুরে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দুপুরে রামপুরায় এক গাড়ি চালক নিহত হন। নিহতের নাম দুলাল মাতবর। তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন আহত হন। তবে কিভাবে তার মৃত্য তার সঠিক পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়ামিন নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তিনি মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকার সাভার প্রতিনিধি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া মাদারীপুরে সংঘর্ষে সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দীপ্ত দে (২১) নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এন কে এম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়া নিহত হয়েছে। তার দেহে অসংখ্যা ছররা গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসরকের জেলা খানা মোড় এলাকা পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিল তাহমিদ।

তবে পুলিশ প্রশাসন বা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।

কোটা সংস্কারসহ কয়েকটি দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর পক্ষ থেকে ডাকা সারা দেশে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। বেলা ১১টার পর থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এসব সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কালের খেয়া/ই/আই

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সারাদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১১ জন

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

 

চলমান আন্দোলনে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে চারজনে মৃতদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমানের গণমাধ্যমকে চারজনের মৃতদেহর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি।

এর আগে উত্তরায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেন উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ। সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে।

উত্তরায় নিহতদের মধ্যে একজনের নাম শেখ ফাহমিন জাফর। তিনি টঙ্গী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

জাফরের মা কাজী লুলুল মাকহমিন কালের কণ্ঠকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।

এ ছাড়া রাজধানীতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ধানমন্ডির পুরোনো ২৭ নম্বর সড়কে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. ফারহানুল ইসলাম ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফায়াজ) নিহত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, দুপুরে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দুপুরে রামপুরায় এক গাড়ি চালক নিহত হন। নিহতের নাম দুলাল মাতবর। তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন আহত হন। তবে কিভাবে তার মৃত্য তার সঠিক পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়ামিন নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তিনি মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকার সাভার প্রতিনিধি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া মাদারীপুরে সংঘর্ষে সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দীপ্ত দে (২১) নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এন কে এম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়া নিহত হয়েছে। তার দেহে অসংখ্যা ছররা গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসরকের জেলা খানা মোড় এলাকা পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিল তাহমিদ।

তবে পুলিশ প্রশাসন বা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।

কোটা সংস্কারসহ কয়েকটি দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর পক্ষ থেকে ডাকা সারা দেশে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। বেলা ১১টার পর থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এসব সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কালের খেয়া/ই/আই