সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ১২:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮১ বার পড়া হয়েছে

রুহুল আমিন বাবুল, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিং উচ্ছেদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গ সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারী উপজেলার টুকের বাজার পয়েন্টে দুপুর ২ টার সময় ছাত্র অধিকার পরিষদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক নুর আহমেদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে গণঅধিকার পরিষদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সমন্বয়ক লিটন মাহমুদ খাঁন বলেন, রাস্তায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও অদক্ষ ড্রাইভারদের বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ফলে রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটছে।পাশাপাশি অভাধে অটোরিকশা চলাচল মহাসড়কে নিত্য দূর্ঘটনার কারণ। সালুটিকর বাজার হতে টুকের বাজার পর্যন্ত হাওর এলাকা বেশি থাকার ফলে ঘনকুয়াশা ও অন্ধকারে দুর্ঘটনা হচ্ছে। তাই আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন এর জন্য কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
যুব অধিকার পরিষদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতা মো: খালেকুজ্জামান বলেন, সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যজোট হয়েছি। আমাদের উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এ মহাসড়ক এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।উপজেলার বউবাজার ও সাকেরা পয়েন্টে অবৈধ পার্কিং এর ফলে এবং অদক্ষ ড্রাইভারদের কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। আজ আমরা যে দাবি নিয়ে মানববন্ধন করছি তা আদায় না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
ছাত্র অধিকার পরিষদ সিলেট মহানগরের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাহিম মিয়া বলেন, সিলেট ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় যারা নিহত হচ্ছে আমি মনে করি তাদের হত্যা করা হচ্ছে। কারণ মহাসড়ক করা হলেও আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। রাস্তায় যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং হলেও তা উচ্ছেদ করার লোক নেই। সাদাপাথর ঘুরতে এসে অনেক পর্যটন মারা যান। রাস্তায় নেই ট্রাফিক পুলিশ, স্পিড ব্রেকার। তাই আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এতে উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ১ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উলামায়ে-কেরাম, সাংবাদিক,শিক্ষার্থী ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।