ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক বোয়ালমারীতে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা এক লক্ষ টাকা আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নে আগুনে আটটি দোকান পুড়ে ছাই ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল বোয়ালমারীতে থ্রি হুইলার উল্টে চালকের মৃত্যু কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ছনবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন কোম্পানীগঞ্জে কারের চাপায়  দুই বছরের শিশু নিহত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন

বোয়ালমারীতে খন্দকার নাসিরের নামে অপপ্রচারে বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন 

টুটুল বসু, বোয়ালমারী,ফরিদপুর
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক কালের খেয়া অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসিরের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

 

গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।  এর প্রতিবাদে বোয়ালমারী  উপজেলা ও পৌর বিএনপি ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় পৌরসভার কামারগ্রামাস্থ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাবু সঞ্জয় সাহার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পাল্টা  সংবাদ সম্মেলন করে।

 

সংবাদ সম্মেলন নিজেদের শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রকৃত সৈনিক ও উপজেলা বিএনপির মূলধারা দাবি করে লিখিত বক্তব্য রাখেন সম্প্রতি বিলুপ্ত ঘোষিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গুনবহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

 

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)এর কতিপয় নেতৃবৃন্দ  ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বারবার কারা নির্যাতিত নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সম্পর্কে অশালীন, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা সম্পুর্ণ সত্যের অপলাপ মাত্র। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে যারা দলের চরম দুর্দিনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বি-টিম হিসেবে দল গঠন করে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল তারাই গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা সকলেই  বিএনএম-এর রাজনীতির সাথে জড়িত। গত সংসদ নির্বাচনে কেউ প্রকাশ্যে কেউ গোপনে  নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন। গত নির্বাচনের সময় ওই সংবাদ সম্মেলনকারির একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। তাতে তিনি তার সমর্থকদের নোঙরের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের  আমলে হয়রানি মূলক  একটি বিস্ফোরক মামলায় থেকে তিনি বিএনএম-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে দিয়ে নিজেসহ বিএনএমএর ২৫ নেতাকর্মীর নাম মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছেন, মামলা থেকে বাদ পড়া অনেকেই এ সংবাদ সম্মেলন দেখা গেছে। এতে প্রমাণিত হয় তিনি ও সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত সকলেই বিএনএম এর সদস্য। বিএনপির নামে সংবাদ সম্মেলন করলেও তারা বিএনপির কেউ নয়।

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম  বিএনপি করার অপরাধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ সরকারের রোষানলে পড়ে কারারুদ্ধ ছিলেন। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীর সাথে কারা মুক্ত হন। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে দীর্ঘদিন  কারাবরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে অসংখ্য ভূয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

সম্প্রতি কথিত বিএনপি নেতা সৈয়দ টুটুল হোসেনের মারপিটের ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।  খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এ ঘটনায়  জড়িত থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না, তিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

সৈয়দ টুটুল হোসেন ও সৈয়দ হাবিবুর রহমানের উপর যে হামলা হয়েছে তার মামলায় স্পষ্ট প্রমাণিত হয় এর সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  অথচ ওই বিএনএম নেতার মদদে  বিএনপির রাজনীতি ধ্বংসের মিশনে শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদেরও এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সুসংগঠিত ফরিদপুর-১ আসনের  বিএনপির রাজনীতিকে ধ্বংসের খেলায় নেমেছে বিএনএম এর সুবিধা ভোগী, প্রতারক ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কতিপয় লোক। বর্তমানে তারা নিজেদের গা থেকে বিএনএমএর গন্ধ মুছে ফেলতে নিজেদের বিএনপির নেতাকর্মী হিসেবে জাহির করতে ব্যস্ত। তারা এখন খন্দকার নাসিরুল ইসলামের  জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার ও বিএনপির নেতাকর্মীদের চরিত্রে মসীলিপ্ত কালিমা লেপনের চেষ্টা করে চলছে। সৈয়দ হাবিবুর রহমান চিহ্নিত মাদক-কারবারি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কী কোনো রাজনৈতিক নেতার পরিচয় বহন করে? এরা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে প্রকৃত শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঘৃণ্য রাজনীতিতে নেমেছে। এদের প্রতিহত করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে রক্ষা করা না গেলে দলীয়ভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। টুটুল ও হাবিবুরকে দিয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা করার তীব্র নিন্দা জানাই।  এ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন  সম্প্রতি বিলুপ্ত ঘোষিত উপজেলা বিএনপি নেতা, বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর শেখ, সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি  খান আতাউর রহমান, যুবদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহা, যুবদলের  যুগ্ম  আহ্বায়ক জহুরুল হক ঠাকুর পিন্টু,  পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ,  উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. আল আমীন আহমেদ,  উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ খান  রাব্বি প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বোয়ালমারীতে খন্দকার নাসিরের নামে অপপ্রচারে বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন 

আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসিরের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

 

গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।  এর প্রতিবাদে বোয়ালমারী  উপজেলা ও পৌর বিএনপি ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় পৌরসভার কামারগ্রামাস্থ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাবু সঞ্জয় সাহার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পাল্টা  সংবাদ সম্মেলন করে।

 

সংবাদ সম্মেলন নিজেদের শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রকৃত সৈনিক ও উপজেলা বিএনপির মূলধারা দাবি করে লিখিত বক্তব্য রাখেন সম্প্রতি বিলুপ্ত ঘোষিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গুনবহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

 

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)এর কতিপয় নেতৃবৃন্দ  ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বারবার কারা নির্যাতিত নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সম্পর্কে অশালীন, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা সম্পুর্ণ সত্যের অপলাপ মাত্র। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে যারা দলের চরম দুর্দিনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বি-টিম হিসেবে দল গঠন করে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল তারাই গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা সকলেই  বিএনএম-এর রাজনীতির সাথে জড়িত। গত সংসদ নির্বাচনে কেউ প্রকাশ্যে কেউ গোপনে  নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন। গত নির্বাচনের সময় ওই সংবাদ সম্মেলনকারির একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। তাতে তিনি তার সমর্থকদের নোঙরের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের  আমলে হয়রানি মূলক  একটি বিস্ফোরক মামলায় থেকে তিনি বিএনএম-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে দিয়ে নিজেসহ বিএনএমএর ২৫ নেতাকর্মীর নাম মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছেন, মামলা থেকে বাদ পড়া অনেকেই এ সংবাদ সম্মেলন দেখা গেছে। এতে প্রমাণিত হয় তিনি ও সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত সকলেই বিএনএম এর সদস্য। বিএনপির নামে সংবাদ সম্মেলন করলেও তারা বিএনপির কেউ নয়।

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম  বিএনপি করার অপরাধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ সরকারের রোষানলে পড়ে কারারুদ্ধ ছিলেন। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীর সাথে কারা মুক্ত হন। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে দীর্ঘদিন  কারাবরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে অসংখ্য ভূয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

সম্প্রতি কথিত বিএনপি নেতা সৈয়দ টুটুল হোসেনের মারপিটের ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।  খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এ ঘটনায়  জড়িত থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না, তিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

সৈয়দ টুটুল হোসেন ও সৈয়দ হাবিবুর রহমানের উপর যে হামলা হয়েছে তার মামলায় স্পষ্ট প্রমাণিত হয় এর সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  অথচ ওই বিএনএম নেতার মদদে  বিএনপির রাজনীতি ধ্বংসের মিশনে শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদেরও এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সুসংগঠিত ফরিদপুর-১ আসনের  বিএনপির রাজনীতিকে ধ্বংসের খেলায় নেমেছে বিএনএম এর সুবিধা ভোগী, প্রতারক ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কতিপয় লোক। বর্তমানে তারা নিজেদের গা থেকে বিএনএমএর গন্ধ মুছে ফেলতে নিজেদের বিএনপির নেতাকর্মী হিসেবে জাহির করতে ব্যস্ত। তারা এখন খন্দকার নাসিরুল ইসলামের  জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার ও বিএনপির নেতাকর্মীদের চরিত্রে মসীলিপ্ত কালিমা লেপনের চেষ্টা করে চলছে। সৈয়দ হাবিবুর রহমান চিহ্নিত মাদক-কারবারি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কী কোনো রাজনৈতিক নেতার পরিচয় বহন করে? এরা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে প্রকৃত শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঘৃণ্য রাজনীতিতে নেমেছে। এদের প্রতিহত করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে রক্ষা করা না গেলে দলীয়ভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। টুটুল ও হাবিবুরকে দিয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা করার তীব্র নিন্দা জানাই।  এ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন  সম্প্রতি বিলুপ্ত ঘোষিত উপজেলা বিএনপি নেতা, বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর শেখ, সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি  খান আতাউর রহমান, যুবদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহা, যুবদলের  যুগ্ম  আহ্বায়ক জহুরুল হক ঠাকুর পিন্টু,  পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ,  উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. আল আমীন আহমেদ,  উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ খান  রাব্বি প্রমুখ।