বিএনপি নেতাদের নৈরাজ্যে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভাঙ্গনের মুখে বারটান

- আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষণা ইন্সটিটিউট ( বারটান) মেঘনা নদী বিধৌত, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নে অবস্থিত। গত কয়েক মাস ধরে বিশনন্দী ইউনিয়নের স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের পথে বারটান। এ নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে বারটান কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী। ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের নৈরাজ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে নদী থেকে।
সূত্র বলছে , “নদী থেকে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছেন বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আনজাত হোসেন হানজালা, ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন। তাদের নেতৃত্বে মাসে ১৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু বিক্রি করা হচ্ছে । ” আরো জানা যায়, ফেরিঘাট সিএনজি স্ট্যান্ড থেকেও প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা তুলেন তারা। বাস থেকে মাসে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা চাঁদা তুলেন। ফেরিঘাটে প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করেন। রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন, এতে আতঙ্কিত ইউনিয়নবাসী।
গত ০৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই নানান অনিয়ম ও লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দের নামে। বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির কিছু নেতারা অবৈধ বালু ব্যবসা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, জুয়া, লুটপাট, জোরপূর্বক জমি দখল, বাসস্ট্যান্ড দখল, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি ইত্যাদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে। ফলে ইউনিয়নে সন্ত্রাসী ত্রাসের রাজত্ব গড়ে উঠেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আনজাত হোসেন হানজালার বিরুদ্ধে এর আগেও নানান অনিয়ম, চাঁদাবাজি, লুটপাট, আওয়ামী নেতাদের আশ্রয় প্রদান, বাস সিন্ডিকেট, অবৈধ জুয়া ও বালু ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রচার করা হয়েছে একাধিকবার। তবুও প্রশাসনের দায়সারা ব্যবস্থার অভাবে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে সে। তার সাথে ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনও জড়িত। তারা মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে অবৈধ টাকা উপার্জন করছে। ফলে নদীর পাড় ভেঙ্গে বারটান নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায়।
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের একজন কর্মকর্তা জানান, ” গত কয়েকদিন ধরে দিন-রাত নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীপাড় ভাঙ্গনের মুখে। এতে করে বারটান বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীনে আছে। ”
এলাকার লোকজন বলছেন, ” তাদের এসব অবৈধ ব্যবসা দীর্ঘদিনের। তাদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ইউনিয়নের মানহানি হচ্ছে বলে তারা জানান।” ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দ বলছেন, ” তাদের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে ইউনিয়ন বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে করে সাংগঠনিক গতিশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। ” কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তাদের।