ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত অন্তত ১৫জন

- আপডেট সময় : ০১:২৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু,পক্ষের সংঘর্ষ এ নারীসহ আহত অন্তত ১৫ জন। জাহিদ হোসেন মোল্লা। ব্যুরো প্রধান ফরিদপুর। ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তাঁর ছেলের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়।
সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হামিদ মাতুব্বরের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে এক যুগ ধরে বিরোধ চলে আসছে অন্য সহ-সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান শহিদের। তারা মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পুরনো বিরোধের জেরে আজ সকাল ৮টার দিকে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির জেরে শহিদুজ্জামান শহিদের পক্ষের স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির মোল্যার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাবিবুর রহমান হামিদ মাতুব্বর ও তাঁর ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা করে।
এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে হামিদ মাতুব্বর ও ফারুক মাতুব্বরের লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হামিদের সমর্থক রেনু বেগম (৫৮), রহমতুল্লাহ মাতুব্বর (৩২), বুরহান (২৪), বাসার মোল্যা (৫২), মমিন মোল্যা (৩৪), মাসুদ (১৮) ও শহিদের সমর্থক হানিফ মোল্যা (৪০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফারুক মাতুব্বরের অভিযোগ, ‘কোনো কারণ ছাড়াই সোমবার সকালে শহিদের পক্ষের ইউপি সদস্য কবির মোল্যা ও তাঁর লোকজন আমাদের সমর্থক স্বপনকে মারধর করে। আমাদের লোকজন ঠেকাতে গেলে তাদেরও পেটানো হয়। পরে কবির মোল্যার নেতৃত্বে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ১০টি বসতঘর ভাঙচুর করে ও মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আমাদের সাতজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ শহিদুজ্জামান শহিদের ভাষ্য, ‘সংঘর্ষের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে শুনেছি, কবির মেম্বার ও হামিদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।’ যদিও হামলায় জড়িত থাকার তথ্য অস্বীকার করেন কবির মোল্যা। তাঁর ভাষ্য, ‘পাট চুরি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ করি, আমরা কি এখন সংঘর্ষে জড়াতে পারে। সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এখনো সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন পক্ষের অভিযোগ এখনো পাইনি, পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
কালেরখেয়া/আ/ই