এনসিপি জোটবদ্ধ হলেও ফরিদপুর-১ আসনে অপু ঠাকুর বিদ্রোহী প্রার্থী
- আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

টুটুল বসু,
বোয়ালমারী , ফরিদপুর
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনপিপি) ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে গাঁট বাঁধলেও ফরিদপুর-১ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এনসিপির ফরিদপুর জেলার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুর।
বোয়ালমারী, মধুখালি, আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন থেকে ১২ দলীয় প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস মোল্লাকে সমর্থন দিয়েছে জোট।
তবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (বিদ্রোহী) মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন এনসিপির ফরিদপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুর ।
তিনি মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম রকিবুল হাসান নিকট তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
জোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এই জুলাই বিপ্লবী বলেন- “আমার নির্বাচনী জনপদের মানুষের সাথে যে অঙ্গীকার আমি করেছিলাম,তাদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের আশ্বাস আমি দিয়েছিলাম তার উপর ভিত্তি করে মাত্র দুই দিনের মধ্যে এ জনপদের প্রায় ৭ হাজার ভোটার স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে গণস্বাক্ষর দিয়ে আমাকে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার আহ্বান জানিয়েছে। তারাই আমার মনোনয়ন পত্র ক্রয় থেকে শুরু করে যাবতীয় কর্মকাণ্ড প্রস্তুত করেছে। তাদের সাথে করা অঙ্গীকার ও মানুষের ভালোবাসার মূল্য দিতেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এ জনপদ পিছিয়ে রয়েছে বিশেষ করে মাদকের ভয়াল থাবা এ জনপদকে বিপর্যস্ত করেছে দৃশ্যমান কোনো কর্মসংস্থান না থাকায়। আমার পরিকল্পনা রয়েছে ৩ উপজেলায় কম করে হলেও বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ টি শিল্পকল কারখানা গড়ে তুলবো যাতে এ এলাকার আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।এ ছাড়া সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি তাই আমার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা। জুলাই বিপ্লবের যে তাজা রক্তক্ষরণ হয়েছে ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ জনপদের মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করবো। আপনারা আমার সালাম ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন। ইনশাআল্লাহ জয় মানুষের হবে।”
হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুর ছাড়াও আসনটি থেকে মোট ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন, তারা হলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ১২ দলীয় জোটের প্রার্থী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস মোল্লা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থী, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ শারাফাত হুসাইন, জাতীয় পার্টি থেকে সুলতান আহমদ খান, বাংলাদেশ মাইননরিটি জনতা পার্টি থেকে মৃন্ময় কান্তি দাস, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মোহাম্মদ খালেদ বিন নাছের।
বিএনপি থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিএনপি নেতা মো. শাহবুদ্দিন আহমেদও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এর সহধর্মিণী লায়লা আরজুমান বানু ও ডা. গোলাম কবির, শেখ আব্দুর রহমান জিকো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট সাংবাদিক, কাঞ্চন মুন্সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান (দোলন) ও আব্দুর রাজ্জাক জুট মিলের স্বত্বাধিকারীরা আবুল বাসার খাঁন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
আসনটিতে তিন উপজেলায় পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪১জন ও মহিলা ২ লাখ ৫১ হাজার ২১৪ জন, মোট ৫ লাখ ১০ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার রয়েছে।









